• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিজ্ঞান কি বলে এলিয়েন সম্পর্কে?

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

এলিয়েন নিয়ে আমরা আগেও অনেক আলোচনা করেছি। এমনকি ধর্ম ও ইতিহাস এলিয়েন নিয়ে কি বলে তাও আমরা আলোচনা করেছি। আজ আমরা জানবো বিজ্ঞান এলিয়েন নিয়ে কি বলে? এলিয়েন নিয়ে আপনাদের মনে হয়তো অনেক প্রশ্ন এখনও থেকে গেছে। তবে সেই সব প্রশ্নের অবসান ঘটানোর জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন।

বিভিন্ন সময় মানুষ বিভিন্ন মানুষ ইউএফওকে দেখেছে। তবে বলা হয়ে থাকে এবং উইকিপিডিয়াতে আছে প্রথম দেখা পাওয়া ইউএফও এর আনুমানিক তারিখ হলো সিএ ১৪৪০ বিসি। তখনকার এই ইউএফওকে নাম দেয়া হয়েছিল ফেইরি ডিস্ক। যার দেখা মেলা ছিল লোয়ার ইজিপ্টে যাকে আমরা এখন মিশর নামে জানি। ডিস্ক্রিপশন হিসেবে উইকিপিডিয়াতে তুলে ধরা হয়েছে যে মিশরের একটি পত্রিকা ফারাওহ থুত্মস এর সাংবাদিক ছিলেন পাপেরুস। তিনি তার পত্রিকায় ইউএফও নিয়ে একটি রিপোর্টে বলেছিলেন যে, আকাশে তখনকার সময় এমন কিছু একটা দেখা গিয়েছিল যা কিনা অগ্নি মন্ডলের মত। যা অনেকটা দেখতে চাক্তির মত, যেটি আকাশে বরাবরের মতই ভেসে চলছে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত ২৫০ বার দেখা মেলে এমন আকাশ যানের। যা নাকি এই পৃথিবীর নয়। যা দেখতে অনেকটা চাকতির মত। ইউএফও সম্পর্কে সব থেকে বেশি যে দেশটি জানে তা হল আমেরিকা।

পৃথিবীর কাছ থেকে ইউএফও-এর ব্যাপারে অনেক কিছু লুকিয়ে রেখেছে আমেরিকা। তবে কোনো বিজ্ঞানী যদি এলিয়েনের ব্যাপারে খোলাখুলি কিছু বললে কিছুদিনের মধ্যে সে পাগল হয়ে যায়, না হয় আত্মহত্যা করে বা একদমই নিখোঁজ হয়ে যায়। এমন হাজারো ঘটনা আছে।

একটি গোপন সরকারি প্রোগ্রামের প্রাক্তন প্রধান রিসার্চার মিডিয়া বাহিনীকে বা সংবাদ প্রদানকারী বাহিনীকে জানিয়েছিলেন, যে অবাধের অস্তিত্বের বিদ্যমান থাকতে পারে। তার এই কথাটা এতই যুক্তিসঙ্গত ছিল যে পরে এই কথাটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। একই সঙ্গে তিনি জনসংযোগ কর্পোরেশনের সাথে জড়িত বিভিন্ন মিডিয়াকেও একটি তথ্য দিয়েছিলেন যে, শুধুমাত্র ইউএফও এবং বাইরের প্রযুক্তিগত বিদ্যা জানা সম্পর্কে ইউএসসহ বেশ বড় কিছু দেশ ২২ মিলিয়নেরও বেশি ডলার এই খাতে ব্যয় করেছে। তার মানে একটা বিষয় আমরা বুঝতে পারছি যে ইউএস-এর মত একটি দেশ অযাচিত কোন কিছুতেই এত টাকা খরচ করবে না। হয়তো তারা পৃথিবীর কাছ থেকে কিছু লুকোচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর বাইরে জীব আছে। হতে পারে তারা কয়েক আলোকবর্ষ দূরে বা হতে পারে আমাদের নিকটে বা হতে পারে তারা আমাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছে। এসব কথা আমার মুখের না, নাসার বিজ্ঞানীরা এমন কথা তখন বলেছেন যখন কিনা তারা প্রথম পৃথিবীর বাহিরে রিসার্চ এর জন্য আকাশ যান পাঠান। আর বিভিন্ন অভিজ্ঞদের মতে এরিয়া ফিফটি ওয়ান যা ইউএসএ অবস্থিত এবং পৃথিবীর সব থেকে সুরক্ষিত এলাকা। এখানে এলিয়েনদের নিয়ে কিছু একটা করা হয় যা বাইরের দুনিয়া জানে না।

প্রথমাবস্থায় তো ইউএস এটা স্বীকারই করেননি যে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নামে তাদের একটি ব্যাস ক্যাম্প আছে। পরবর্তীতে জনগণের চাপের মুখে পড়ে তারা এটা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে এরিয়া ফিফটি ওয়ান নামেও তাদের একটি ব্যাস ক্যাম্প আছে। তবে তারা এখন পর্যন্ত বলেনি যে এরিয়া ফিফটি ওয়ান এ কি ধরনের কাজ চলছে বা কি ধরনের রিসার্চ চলছে এই ব্যাপারে খোলাখুলিভাবে তেমন কোনো কথাই বলেননি। আর তারা এই ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি না। কিছু একটা তো লুকোচ্ছে। কিন্তু কি সেটা?

সাধারন অনেক মানুষ আছেন যারা এই এলাকাতে এমন অনেক কিছু দেখেছেন যা কিনা এই পৃথিবীর না। ইন্টারনেটে এমন অনেক ভিডিও ক্লিপ আছে যার যদি আমি ৮০ শতাংশ বাদ দেই তাও একই প্রশ্ন থকে যায় যে বাকি ২০ শতাংশ ভিডিও ক্লিপ এ ধরা পরা প্রানিগুলো কোথায়? বা কোথা থেকেই বা এগুলো আসলো?

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –