• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

আত্মা ও পরমাত্মা কি জেনে নিন!

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

পবিত্র কুরআনে আত্মাকে বলা হয়েছে রুহ্ বা নফ্স। ইসলামে দেহের সাথে সংযুক্তির পূর্বে আত্মার অস্তিত্ব নেই। দেহ বা আত্মা একই সাথে অস্তিত্ব লাভ করে।

“স্মরণ করো তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদেরকে বলেছিলেন, ‘আমি মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছি, যখন আমি তাকে সুঠাম করবো ও তার মধ্যে আমার রুহ্ সঞ্চার করবো তখন তোমরা তাকে সিজদা করবে। ‘ফেরেশতারা সকলেই সেজদা করলো, ইবলিস ছাড়া, সে সিজদা করতে অস্বীকার করলো।’
– (সূরা হিজর : ২৮-৩১)

“হে প্রশান্ত আত্মা ! তুমি তোমার প্রতিপালকের কাছে ফিরে এসো, সন্তুষ্ট হও (নিজে) ও সন্তুষ্ট করো (তাঁকে)।”
– (সূরা ফাজর : ২৭-৩০)

হযরত মুহাম্মদ (স:) কে উদ্দেশ্য করে কোরআনে বলা হয়েছে –
“তোমাকে ওরা রুহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলো, ‘রুহ্ আমার প্রতিপালকের আজ্ঞাধীন। ‘এ বিষয়ে আমাকে সামান্যই জ্ঞান দেয়া হয়েছে।”
– (সূরা বনি – ইসরাইল : ৮৫)

মৃত্যুর পর আত্মা ‘ইল্লিন’ ও ‘সিজ্জিন’ এই দুইস্হানে অবস্হান করে বলে অনেক ধর্মবিদ মনে করেন।

রুহ, নফ্স বা আত্মার ছয়টি স্তর –

১. নফসে আমবারা – এই আত্মা মানুষ কে অসৎ কাজের প্ররোচনা দেয়, পূণ্যতা লাভের পথ থেকে সরিয়ে রাখে।
২.নফসে রহমানি – মানুষ এই আত্মিক স্তরে কুপ্রবৃত্তি দমন করতে শেখে।
৩.নফসে মুলহামা – এই স্তরে মানব আত্মা নিজের কল্যানে বিকশিত হয়।
৪.নফসে মুত্মাইন্না – এই স্তরে আত্মা আল্লাহর স্হায়ী অস্তিত্ব লাভ করে, তাঁকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকতে পারেনা।
৫.নফসে রাজিয়া – পরিতুষ্ট আত্মা।
৬.নফসে মারজিয়া -আল্লাহর নিকট প্রীত বা কামেল আত্মা।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –