• শুক্রবার ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

দালালে অতিষ্ঠ পর্যটক

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

কক্সবাজারে বাস থামার সঙ্গে সঙ্গেই পর্যটকদের সিএনজি ট্যাক্সি, ও রিকশা চালকরা শুরু করে টানা-হেঁচড়া। দৌঁড়ে এসে ঝাপিয়ে পড়ে পর্যটকদের ওপর।

ব্যাগ ও পর্যটকদের চারপাশে টানতে থাকে। যা পর্যটকদের একটি বিরক্তির কারণ। হয়রানির শিকার হয় অনেকে।

কক্সবাজার বাস টার্মিনাল, কলাতলীর মোড়, সুগন্ধা পয়েন্টে ও হলিডে মোডসহ পুরো কলাতলী জোনের এ চিত্র। প্রায়ই বাস থামানোর আগেই অটোচালক গাড়িতে উঠে পর্যটকদের টানতে শুরু করে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গাড়ি বাস টার্মিনাল ও কলাতলীর মোডসহ হোটেল মোটেল জোনে থামার পর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এ টানা-হেঁচড়া। চালকরা মরিয়া হয়ে ওঠে পর্যটকদের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনে নিয়ে যেতে। গাড়িতে ওঠানোর পরই শুরু হয় প্রতারণার নকশা ও প্রলোভন দেখানো।

এমনকি পর্যটকদের মাদক ও যৌনকর্মী সংগ্রহ করে দেবার প্রস্তাবে হাতিয়ে নেয় টাকা। কমিশনের লোভে চালকরা পর্যটকদের টাকার তুলনায় নিন্মমানের আবাসিক হোটেল বা কটেজে তুলে দেয়। একইভাবে কমিশনের লোভে রেস্তোরাঁয়ও নিয়ে যায়। প্রায়ই এসকল কারণে বিব্রত হয় পর্যটকরা।

ঢাকার পর্যটক দম্পতি মুহিব চৌধুরী ও শারমিন চৌধুরী। কলাতলী মোড়ে বাস থেকে নামার পর কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা বলেন, বাস থেকে নামার শুরুতে একদল লোক বাসের দরজায় এসে ভিড় জমায়। এরপর তারা টানা-হেঁচড়া শুরু করে। প্রথমে মনে করেছিলাম ছিনতাই করা হচ্ছে। কিন্তু না। যারা টানাটানি করছে তারা অটোরিকশার চালক। ভালো হোটেল দেখানোর কথা বলে তাদের গাড়িতে উঠতে বলে অনেকেই।

কলাতলী মোড়ে অবৈধভাবে অটোরিকশার পার্কিং গড়েছে বাহারছড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী মুনিয়া। তার নেতৃত্বে চালকরা গাড়ি নিয়ে মোড়ে অবস্থান করে। এমনকি কলাতলীর মোড়ের আশপাশে অনেক হোটেল ও ফ্লাট মালিকের এসব অটো চালকদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। হোটেলে পর্যটক দিতে পারলেই তাদের জন্য রয়েছে কমিশন। যার কারণে অটো চালকরা পর্যটকদের টেনে-হেঁচড়ে হোটেলে নিতে চেষ্টা করে।

স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল ও কলাতলী মোড় কেন্দ্রিক একটি চক্র ও এক শ্রেণির হোটেল মালিকদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে। কম খরচে ভাল হোটেলে থাকার কথা বলে কৌশলে নিয়ে যায় নির্ধারিত হোটেলে। আবার মাঝপথে দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাবার ঘটনা ঘটে অহরহ।

হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এখন পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। দিনের বেলায় পর্যটকবাহী বাসগুলো শহরে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। তাই কলাতলী মোড় বা বাস টার্মিনালে পর্যন্ত আসতে পারে বাস। এ কারণে দালাল চক্র পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানির সুযোগ পায়। এমনকি এক শ্রেণির হোটেল ও কটেজ ব্যবসায়ীরা চালকদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে পর্যটকদের পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে। তাই পর্যটক হয়রানি বেড়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত এসপি ইকবাল হোসাইন বলেন, কলাতলী মোড় ও বাস টার্মিনাল এলাকায় বাস থেকে নামার পর কিছু সিএনজি ও অটোচালকদের হাতে পর্যটকরা হয়রানি ও টানা-হেঁচড়ার শিকার হন বলে শুনেছি। তবে দ্রুত সময়ে পর্যটকদের সুবিধার জন্য এসব চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –