• সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৬ ১৪৩১

  • || ২৩ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪  

উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে আবারও তিস্তার পানি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিস্তার পানি রেলসেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমার সীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়ে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে তিস্তা অববাহিকার ৩ হাজার পরিবারেরর ঘরবাড়ি। তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

তিস্তা তীরবর্তীন নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করায় নদীপাড়ে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানিতে অবস্থিত   তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি,রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

গড্ডিমারি ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী  গ্রামের  ইউপি সদস্য  জাকির হোসেন বলেন,  বুধবার থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাড়ছে। এতে অত্র ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি ওয়ার্ডের পানি প্রবেশ করছে। 

হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, চারদিন পর আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অত্র ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করেছে। হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় দশটি পরিবারের ঘরবাড়ি। বিষয়গুলো আমরা নির্বাহী  অফিসারকে অবগত করেছি। 

সদরের গোকুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান টোটন বলেন, চারদিন পর আবারও তিস্তার পানি বেড়ে তার ইউনিয়নের ৪ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের কয়েকশ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গত দুই দিন থেকে আবারও  তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, তিস্তার পানি বাড়ায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সর্তক রয়েছি। 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –