• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

সু চিকে দেয়া পদক প্রত্যাহার প্যারিসের

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০১৮  

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে দেয়া সম্মানসূচক প্যারিস শহরের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সম্মাননা বাতিলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্যারিসের মেয়র অ্যানা হিদালগো।

তার এক মুখপাত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্যারিস সিটি কাউন্সিল এ বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর এএফপি’র

প্যারিসের মেয়র কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর মেয়র অ্যানা হিদালগো মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে লেখা এক চিঠিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তার উদ্বেগ এবং তাদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সেই চিঠির কোনো উত্তর দেয়া হয়নি।

এর আগে একই ইস্যুতে অং সান সু চিকে দেয়া একই রকম সম্মানসূচক পদক কেড়ে নিয়েছে গ্লাসগো, এডিনবার্গ ও অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই একই ধারায় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের দেয়া ফ্রিডম অব প্যারিস পদকও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরতার দায়ে সু চিকে দেয়া কানাডার সম্মানজনক নাগরিকত্ব এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ‘অ্যাম্বাসেডর অব কনসাইন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সু চির দিক থেকে ক্রমেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে মিয়ানমারের তরুণ সমাজও। তরুণদের মাঝে সু চির জনপ্রীয়তা কমছে। প্রতিবেদনে সু চিকে ‘হারানো আদর্শ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের তরুণ অধিকারকর্মী ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা থিনজার শুন লি ই (২৭) এক সময় বলতেন, অং সান সু চির সবচেয়ে বড় ভক্তদের অন্যতম তিনি। কিন্তু এখন তিনিই সু চির সবচেয়ে কড়া সমালোচকদের অন্যতম হয়ে উঠেছেন। উচ্চ পদ-মর্যাদার উদার অধিকারকর্মীদের একটি ছোট্ট দল গড়ে উঠেছে মিয়ানমারে। এ দলটির বেশির ভাগ কর্মী এক সময় সু চির কট্টর সমর্থক ছিলেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –