• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জুটি হিসেবে পথ চলার রজত জয়ন্তীতে ওমর সানী-মৌসুমী

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

 ১৯৯৪ সালের ২ ডিসেম্বর ওমর সানী মৌসুমী জুটির প্রথম সিনেমা ‘দোলা’ মুক্তি পেয়েছিলো। সেই হিসেবে সিনেমার পর্দায় জুটি হিসেবে তারা রজত জয়ন্তীতে পদার্পণ করেছেন। দীর্ঘদিনের এই পথ চলায় সিনেমার পর্দায় যেমন জুটি হিসেবে তারা দু’জন আকাশচুম্বী সফলতা অর্জন করেছেন ঠিক তেমনি দাম্পত্য জীবনেও তারা দু’জন সুখী তারকা দম্পতির দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন। 

প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী ভালোবেসে চিত্রনায়ক ওমর সানীকে বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট। ‘দোলা’ সিনেমার পর ওমর সানী মৌসুমী জুটিবদ্ধ হয়ে ‘আতœ অহংকার’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘মুক্তির সংগ্রাম’, ‘হারানো প্রেম’, ‘গরীবের রানী’, ‘প্রিয় তুমি’, ‘সুখের স্বর্গ’, ‘মিথ্যা অহংকার’, ‘ঘাত প্রতিঘাত’, ‘লজ্জা’, ‘কথা দাও’ ‘¯েœহের বাঁধন’ , ‘সাহেব নামে গোলাম’সহ আরো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন।  ওমর সানী বলেন, ‘ মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এবং মৌসুমী বেশ ভালো আছি, সবার দোয়ায় আমরা বেশ শান্তিতে আছি।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তানের পিতা মাতা হবার তৌফিক দান করেছেন। সবাই দোয়া করবেন আমাদের ছেলে ফারদিন এবং মেয়ে ফাইজাকে যেন আল্লাহ সুস্থ রাখেন ভালো রাখেন। আর সিনেমার পর্দায় আমার এবং মৌসুমীর পথচলার পঁচিশ বছর কীভাবে যে পেরিয়ে গেলো তা টেরই পাইনি। সবই আল্লাহর ইচ্ছে। দর্শকের ভালোবাসা আমরা এতোটা পথ এতো সুন্দরভাবে পাড়ি দিতে পেরেছি এ জন্য দর্শকের প্রতি আমাদের অনেক কৃতজ্ঞতা, দর্শকের জন্য সবসময়ই আমাদের ভালোবাসা থাকেব।

 আমি এবং মৌসুমী সবসময়ই আপনাদের কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ আমাদের সুস্থ রাখেন।’ প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা সুখে দুঃখে একসঙ্গে প্রায় দুই যুগ পার করেছি। আমাদের দু’ সন্তান ফারদিন এবং ফাইজাকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করছি। নিজেদের জীবনের কিছুটা গল্প এরইমধ্যে দর্শকের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ‘ভালোবাসার বিশ বছর’-টেলিফিল্মে।

সিনেমার পর্দায় জুটি হিসেবে আমাদের পথচলার এতোটা সময় পেরিয়ে গেছে সেটা আসলে আলাদা করে ভাবার সুযোগও পাইনি। আমাদের দীর্ঘদিনের এই পথচলায় যে যে যার যার অবস্থান থেকে আমাদের পাশে ছিলেন আমরা  সবার প্রতিই আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

একজন শিল্পী তা জুটি সকলের আন্তরিক চেষ্টাতেই জুটি তা একজন পূর্ণাঙ্গ শিল্পীতে পরিণত হন। দোলা থেকে শুরু করে আজকের মধুর ক্যান্টিন পর্যন্ত আমাদের পথচলাকে সমৃদ্ধ করতে যারাই আন্তরিকতা নিয়ে পাশে ছিলেন তাদের প্রতি মনের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার সংসার জীবনে, শিল্পী জীবনে সুখে দুঃখে সবসময়ই সানী আমার পাশে ছিলো। এটাও একজন মানুষ হিসেবে, শিল্পী হিসেবে আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।

 পর্দার জুটি হিসেবে যে শিল্পী সবার কাছে অনেক প্রিয় বাস্তব জীবনে সেই শিল্পীই আমার জীবনসঙ্গী। আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া আমরা যেন সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। সবাই দোয়া করবেন আমাদের জন্য। ’ বাংলা চলচ্চিত্রে ওমর সানীর সম্পৃক্ততা নূর হোসেন বলাইয়ের ‘এই নিয়ে সংসার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে হলেও দর্শকের সামনে ওমর সানীকে সবার আগে তুলে ধরেন পরিচালিক দারাশিকো তার ‘চাঁদের আলো’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি।

এই ছবির ‘তুমি আমার চাঁদ আমি চাঁদেরই আলো’ গানটি এখনো দর্শক শ্রোতার মুখে মুখে ফিরে। একই সময়ে ওমর সানী অভিনীত যে ছবিগুলো ব্যাপক ব্যবসা সফল হয় তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে নূর মোহাম্মদ মনির ‘প্রেম প্রতিশোধ’, নূর হোসেন বলাইয়ের ‘মহৎ’, নাদিম মাহমুদের ‘আখেরী হামলা’। এরমধ্যে ‘মহৎ’ ছবিতে তার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও শাহনাজ।

এই ছবিরও এ্যান্ড্রু কিশোর ও প্রয়াত খালিদ হাসান মিলুর গাওয়া ‘প্রেম কখনো মধুর কখনো সে বেদনা বিধুর’ গানটি এখনো বেশ জনপ্রিয়। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় সালমান শাহ’র সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে সিনেমায় মৌসুমীর যাত্রা শুরু হয়। রূপালী পর্দায় তার যাত্রার ২৫ বছর তিনি গেলো মার্চ মাসেই পূর্ণ করেছেন। 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –