• রোববার ২০ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দিয়েই চলছে হাবিপ্রবির সকল কার্যক্রম 

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২১  

প্রায় চার মাস ধরে পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য (ভিসি) না থাকায় প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)। রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য দিয়েই কোনো রকমে চলছে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাবিপ্রবিতে বর্তমানে ৩২১ জন শিক্ষক, ২১৩ জন কর্মকর্তা ও ৩০২ জন কর্মচারী রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন শিক্ষক ও ৫০ জনেরও অধিক কর্মকর্তা এবং কয়েক জন কর্মচারীর পদোন্নতির সময় বেশ কিছুদিন আগেই অতিক্রান্ত হয়েছে। স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় তাদের পদোন্নতি হয়নি। ফলে এসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শুধু শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি নয়, পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় হাবিপ্রবিতে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় দীর্ঘদিন থেকেই অনুষ্ঠিত হয়নি হাবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং, নেওয়া যাচ্ছে না প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত।

হাবিপ্রবি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাশেমকে চার বছরের জন্য হাবিপ্রবির ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি তার চার বছরের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পান হাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ ড. বিধান চন্দ্র হালদার। কিন্তু একজন উপাচার্য যে কার্য সম্পাদন করতে পারেন, সে কার্যক্রম একজন রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য করতে পারেন না। নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থেকে উপাচার্যের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হয় রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যকে। এই কারণেই প্রায় চার মাস ধরে পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য না থাকায় প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে হাবিপ্রবিতে। এতে ক্ষোভও দেখা দিয়েছে পদোন্নতি ও বিশেষ সুবিধাবঞ্চিত বেশকিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।

হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. ফজলুল হক বলেন, ‘উপাচার্য না থাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। কারণ উপাচার্য না থাকলে রিজেন্ট বোর্ড বা একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে আমরা কোনো একাডেমিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’

এ বিষয়ে হাবিপ্রবির রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির জন্য একাডেমিক কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। এখন অনলাইনে চলছে ক্লাস। পরীক্ষার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হচ্ছে। তবে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় প্রশাসনিক অনেক কাজই করা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘বেশকিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদোন্নতি ও বেতনক্রম পরিবর্তনের সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। এতে ঐসব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ সচল রাখতে স্থায়ী উপাচার্য নিযুক্ত জরুরি। আমিও চাই অতিদ্রুত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হোক।’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –