• সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৪ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

আগামীকাল একুশে পা দিচ্ছে হাবিপ্রবি   

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

করোনা শিক্ষার্থীদের ঘরে আটকে রেখেছে ঠিকই তাই বলে কি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসেরর আনন্দ কেড়ে নিতে পারবে? এর উত্তর খুঁজতে খুব বেশি কষ্ট করার প্রয়োজন পরবে না। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( হাবিপ্রবি) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘুরলেই এর উত্তর মিলবে। বিশ্ববিদ্যালয় দিসবকে ঘিরে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ফেসবুকে হাবিপ্রবির ছবি সৌরভ ছড়াচ্ছে । ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম সংগঠন হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক নির্মিত ডকুমেন্টারি হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে ঘিরে হাবিপ্রবি প্রশাসনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে।

১১ই সেপ্টেম্বর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ তম জন্মদিন তথা হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস । রংপুর বিভাগের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। তেভাগা আন্দোলনের জনক ও দিনাজপুর অঞ্চলের জনদরদী কৃষকনেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশ এর নামানুসারে এই বিদ্যাপীঠের নামকরণ করা হয়। ইতিমধ্যে উত্তর অঞ্চলের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হিসাবে পরিচিত পেয়েছে হাবিপ্রবি । মাত্র একটি অনুষদ ও সামান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৪ টি ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া ৯ টি অনুষদের অধীনে ৪৫ টি বিভাগ পরিচালিত হচ্ছে ।


এদিকে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ সুবিধার মধ্যে রয়েছে আছে ৫ টি একাডেমিক ভবন (একটি ১০ তলা ভবন নির্মাণাধীন)। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ(এসি) সহ দুটি জামে মসজিদ। রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, প্রধান প্রবেশপথ ও অত্যাধুনিক প্রশাসনিক ভবন। ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ৫টি ছাত্র হল (একটি বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ) ও ৪টি ছাত্রী হল ( একটি নির্মাণাধীন)।


 প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন-১ এ পৃথক পৃথকভাবে রয়েছে আধুনিক সাজসজ্জা বিশিষ্ট দুটি ভিআইপি কনফারেন্স রুম পাশাপাশি রয়েছে ৭০০ (নন এসি) ও ২৮০ আসন(এসি ) বিশিষ্ট দুটি অডিটোরিয়াম। অতিথি আপ্যায়নের জন্য রয়েছে দুটি উন্নত মানের গেস্ট হাউজ, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম কিংবা দিনাজপুরের মিনি চিড়িয়াখানা খ্যাত উট পাখিসহ বিভিন্ন পশু -পাখির জন্য গবেষণা ফার্ম দর্শনার্থীদের জন্য বিনোদনের খোরাক জোগায়।


এদিকে ফিসারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হ্যাচারী তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে । প্রায় এগারো হাজারের অধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য রয়েছে ৩১৪ জন উচ্চদক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষক, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে নিরলসবাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রায় ২০০ জনের অধিক কর্মকর্তা এবং কয়েকশত কর্মচারী। 


শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারিদের জন্য প্রায় ১৪৫ টি আবাসিক ইউনিট আছে , ক্যাম্পাসে আরও রয়েছে একটি শিশুপার্ক, পোষ্ট অফিস, রূপালী ব্যাংক শাখা, মেঘনা ব্যাংক শাখা, শ্রমিক/আনসার ব্যারাক, সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট (একাডেমিক কাজে) সুবিধা, নিজস্ব সার্বক্ষনিক বৈদ্যুতিক সুবিধা সহ পৃথক বৈদ্যুতিক লাইন ও সাবস্টেশন ,বৃহৎ খেলার মাঠ, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা। বর্তমানে বড় বাস, মিনি বাস, এসি বাস, মাইক্রো, অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপ সহ প্রায় ৪০ টি যানবাহন রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পরিবহন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বিআরটিসির বাসের অতিরিক্ত ট্রিপ হিসাবে করোনা পরবর্তি সময়ে যুক্ত হবার কথা রয়েছে। গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সমন্বয় ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য রয়েছে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আই.আর.টি.)সেন্টার। আরো আছে হাবিপ্রবি স্কুল, বার শয্যার একটি মেডিক্যাল সেন্টার , সাথে বর্তমানে মেডিকেল সেন্টারের বর্ধিতাংশের ( পাঁচ তলা ) কাজ শেষ পর্যায়ে।


 গবেষণালব্ধ থিসিস, রিপোর্ট, জার্নালের পাশাপাশি রয়েছে ১০ হাজারের বেশি বইয়ের সমৃদ্ধ লাইব্রেরি( এসি ও নন এসি) । পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে কয়েকশত প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি সহ বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য গাছ-গাছালির আকর্ষণীয় সংগ্রহ। হাবিপ্রবিতে আছে উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর পেছনে বাংলাদেশ সরকারের বার্ষিক ব্যয় প্রায় ৬৫০০০ হাজার টাকা । 


সাম্প্রতিক সময়ে হাবিপ্রবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মারুফ হাসানের কালোজামের জুস ও অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সরকারের নেতৃত্বে তৈরি টু স্টেজ গ্রেইন ড্রায়ার মেশিন দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

হাবিপ্রবির ২১ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষেদের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রিয়াদ খান বলেন, " উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান, তেভাগা আন্দোলনের নেতা মরহুম হাজী মোহাম্মদ দানেশের নামে ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় থেকে অাজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় অনেকদূর এগিয়ে গেছে, তবে বলতে কষ্ট নেই গবেষণা ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে হাবিপ্রবি। শিক্ষক সংকটসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতায় একাডেমিক দিকেও অনেকসময় কিছুটা বাঁধাগ্রস্হ হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণী শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। আর ঠিক একারণেই বর্তমানে হাবিপ্রবিতে বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। একাডেমিক উন্নয়ন হয়েছে এবং আমি বিশ্বাস করি অতিদ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি একাডেমিক ও গবেষণা ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হবে ।বর্তমান মাননীয় ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মু.আবুল কাসেম স্যার একাডেমিক মানোন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণার সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য কৃষক সেবা কেন্দ্র, ক্যারিয়ার এডভাইজরী সার্ভিস সেন্টার ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো গতিশীল করতে এখানে ছাত্র সংসদ ও অ্যালমেনাই এসোসিয়েশন অতিদ্রুত প্রয়োজন। সবশেষে বলতে চাই, আমার বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে সবসময়ই সেরা"।

আবার, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে পরবর্তীতে ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক হওয়ায় সুব্রত কুমার প্রামানিক বলেন, " দীর্ঘদিন কাছ থেকে অবলোকন করার সুযোগ হয়েছে হাবিপ্রবিকে। দ্বিতীয় বাড়ি এবং দ্বিতীয় পরিবার হিসাবে মেনে নেওয়ায় ভালবাসার এ প্রতিষ্ঠান টিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে দেখতে পেয়েছি। এর অনেক ভাল মন্দের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে প্রাণের এ প্রতিষ্ঠানটির জন্য রইল নিরন্তর শুভকামনা।
ভাল খারাপ নিয়েই সবকিছুর অস্তিত্ব। একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটিকে কল্পনা করা যায় না। প্রিয় হাবিপ্রবিও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবে যেহেতু এটি আমার দ্বিতীয় পরিবার তাই এর ভাল দিকগুলোকে আমি মনে রেখে এর উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করছি। আশা করি একদিন প্রিয় এ প্রতিষ্ঠানটি শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে তার অস্তিত্ব আলোকময় করবে। তবে সে দিনটি দেখতে হলে আমাদের সকলকেই নিজ নিজ স্থান থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে।একটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন হয় অনেক পরিকল্পনা, উদ্যোগ পাশাপাশি প্রয়োজন হয় মানোন্নায়ন এবং গুনগত মান রক্ষার। আশা রাখি আমরা প্রিয় হাবিপ্রবিকে এগিয়ে নিতে সেদিকেই অগ্রসর হচ্ছি। হাবিপ্রবিকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে পারে এমন কিছু আমার ব্যক্তিগত মতামত যা আমি নিজের অবলোকন থেকে অনুভব করেছি এবং একজন ছাত্র হিসেবে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি তার কিছু উল্লেখ করতে চাই প্রিয় হাবিপ্রবির জন্মদিনে।
১। সম্মিলিত প্রয়াস, সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা ও শিক্ষক শিক্ষার্থীর সুসম্পর্ক।
২। বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সুবিধা (কেউ একাডেমিক ক্ষেত্রে ভাল করতে আগ্রহী, কেউ গবেষনায় আগ্রহী, কেউ বিদেশে যেতে আগ্রহী, কেউ সরকারি চাকুরির প্রস্তুতি গ্রহণে আগ্রহী, আবার কেউ বা খেলাধুলা, বিতর্ক, গান, নাচ, কবিতা, লেখালেখি, স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশগ্রণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আগ্রহী)
৩। কেন্দ্রীয় গবেষণাগার স্থাপন। যেটি কিনা এখন সময়ের দাবি বলা যায়। কারণ গবেষণাগার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকটাই দর্পণের মতো। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান যত বেশি উন্নত সে বিশ্ববিদ্যালয় তত উন্নত।
৪। বিভিন্ন বিষয়ে যত সম্ভব বেশি বেশি সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সিমপোজিয়াম, প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করা, যা চলমান বিশ্বকে জানতে, আধুনিক উদ্ভাবন ও নিত্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।
৫। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করা যাতে তারা বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে।
৬। বেশি বেশি ফিল্ড এবং ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জ্ঞানের পাশাপাশি শেখার মাঝে আনন্দ খুঁজে পায়।
৭। সম্ভব হলে এপিএ কার্যকর করা।

৮। সর্বোপরি আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে আইএসও সারটিফাইড হওয়ার জন্য এবং সেই অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যার মান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
৯। আমাদের সনদপ্রাপ্তরা যেন হয় বাস্তবমুখী, সমাজে ও চাকুরির বাজারে যোগ্যতম ও অধিকতর গ্রহনযোগ্য। কেননা তারাই দেশে বিদেশে প্রকাশ করবে হাবিপ্রবির মান।  যেমন বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা,কর্মচারিদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সব কাজ করা সহজ ছিলো না। তবুও হাবিপ্রবি যাতে কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে না থাকে সেজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যার মধ্যে অনেক উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়েছে আবার বেশ কিছু দৃশ্যমান হতে সময় লাগবে। আমার সময় পর্যন্ত হাবিপ্রবিতে দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিদেশী শিক্ষার্থী (প্রায় ১৫৪ জন ) এই বিদ্যাপীঠে লেখাপড়া করছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলোর মধ্যে হাবিপ্রবি থেকে প্রথম ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজারি সার্ভিস ( ক্যাডস) সেন্টারের যাত্রা শুরু হয় ১৭ই মার্চ। যা হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য মুজিববর্ষের উপহার। এটি উদ্বোধন হওয়াতে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে বিদেশে বিনামূলে চাকরির খবরাখবর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের স্কলারশীপের তথ্য পাওয়া সহজতর হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রথম মোবাইল ভেটেনারি ক্লিনিক সেবা ও কৃষক সেবা কেন্দ্র চালু হওয়াতে একদিকে দিনাজপুর জেলার মানুষের গবাদি পশুপাখির উন্নত চিকিংসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে ঠিক তেমনি কৃষকদের বিভিন্ন ফসল ফলাদি উৎপাদন সম্পর্কে তথ্য ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া টিএসসি, মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারণ, প্রধান প্রবেশ পথ নির্মাণ তৈরি সহ বেশ কিছু কাজ শেষ হয়েছে।কৃষি, মৎস্য ও প্রানীসম্পদ গবেষণা কমপ্লেক্স তৈরি, ডিজিটাল ডায়েরীর( অ্যাপস )  পাশাপাশি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগকে আটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে নতুন মহিলা হল তৈরি ও ১০ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে মেয়েদের আবাসন সংকটের লাঘব হবে এবং শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাব সংকট কেটে যাবে। এছাড়া হ্যাচারি নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী সময়ে হাবিপ্রবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ইন্টারন্যাশনাল হল, ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন ও অডিটোরিয়াম সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী আমরা। আশা করি করোনা পরবর্তি সময়ে শিক্ষার্থীদের সকল সংকট সময়ের সাথে সাথে কেটে যাবে "।


করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে হাবিপ্রবির শ্রেণিকক্ষ কিংবা সবুজ মাঠে পুনরায় প্রাণোচ্ছল উৎসবে মেতে উঠুক বন্ধু, সিনিয়র-জুনিয়র সকলে, শিক্ষকদের সাথে ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বরে দেখা হবে- এই প্রত্যাশাই সকল শিক্ষার্থীর। সেই পর্যন্ত সকলে সুস্থ থাকুক, নিরাপদ থাকুক সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দ।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –