• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা- ২০১৮ ঘোষণা

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

বাংলাদেশে মোট ভোটার এর মধ্যে ৪ কোটি ২০ লাখ তরুণ ভোটার। তাই এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ তরুণ ভোটার। এ বিষয়টি সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তরুণদের কী প্রত্যাশা রয়েছে তার আলোকে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা-২০১৮’ প্রকাশ করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর উদ্যোগে সোমবার ওই ইশতেহার ভাবনা প্রকাশ করা হয়।

এতে বিসিএস পরীক্ষায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমানো, শিক্ষার্থীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানসহ নানা দাবি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষায় জিডিপির ৫ ভাগ বা জাতীয় বার্ষিক বাজেটের ২০ ভাগ বরাদ্দ করার দাবি জানানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো-

বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থান :

১. বেকার তরুণদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সহজ শর্তে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

২. তরুণদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নতুন পদ সৃষ্টি করা।

৩. সব মন্ত্রণালয়সহ তরুণদের উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ১৬টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করা।

৪. প্রতি জেলা ও উপজেলায় কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা। উদ্যোক্তাদের জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মাননার ব্যবস্থা করা।

৫. প্রশাসনের শূণ্যপদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের ব্যবস্থা করা।

চাকরির নিয়োগ ব্যবস্থা :

১. চাকরির জন্য সকলের অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা।

২. সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন ফ্রি করা।

৩. নিয়োগের স্বচ্ছতা রক্ষার্থে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করা।

৪. প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ১০দিন ও লিখিত পরীক্ষার ৯০ দিনের মধ্যে ফলাফলের ব্যবস্থা করা। বিসিএস পরীক্ষায় মৌখিক নম্বর কমিয়ে ৫০ নম্বরে আনা।

৫. বড় নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সরকারি কর্মকমিশনের মতো বিভাগীয় শহরে নেয়ার ব্যবস্থা করা।

৬. সরকারি কর্মকমিশনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে লোকবল নিয়োগ। সরকারি সকল চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনা।

৭. সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে আলাদা বোর্ড গঠন করা।

৮. নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্য যাচাইয়ের নামে অযথা হয়রানি বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া।

৯. সরকারি চাকরির আাইনের আলোকে বেসরকারি চাকরিতেও অনুরূপ আইন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা।

১০. তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা।

শিক্ষা ও গবেষণা :

১. প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আধুনিক ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।

২. উন্নত বিশ্বের ন্যায় প্রতিবছর যুবকদের নিয়ে যুব এসেম্বলি করতে হবে, যার প্রতিনিধিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

৩. গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা প্রদান না করা। হামলা মামলা ও হয়রানি থেকে নিবৃত থাকা।

৪. গণমাধ্যমসহ বাক স্বাধীনতাকে হরণ করে এমন আইন অতিসত্ত্বর বাতিল করা।

৫. স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রূপান্তর করা।

৬. তরুণ সমাজ যাতে জঙ্গি ও মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।

৭. শিক্ষক নিয়োগে ৮০ ভাগ নম্বর লিখিত পরীক্ষায় এবং ২০ ভাগ নম্বর মৌখিক পরীক্ষায় রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনের সামনে ‘তারুণ্যের ইশতেহার ভাবনা- ২০১৮’ ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, মোহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, বিন আমিন মোল্লা, জসিম প্রমুখ।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –