• বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

  • || ২৬ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

‘মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সন্তোষজনক নয়’

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৪  

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যে পরীক্ষাগুলো করেছে, তাতে তাদের কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখছি, মোবাইল গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই অপারেটরদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট, তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে- সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র বা রিঅ্যাকশন না পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হবো না। যেভাবেই হোক, এ সেবায় গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে হবে। কারণ এটা দেশের ব্র্যান্ডিংয়ে বড় প্রভাব ফেলে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা, সেটা আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো যদি প্রতিশ্রুত সেবা না দেয়, তাহলে গ্রাহককে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং এবং অডিট করবে।

কলড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক, মিডিয়ার রিপোর্ট আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী- সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেওয়া হবে। একটি কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করে সেগুলো টেস্ট করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাবো না। সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেবো, যেন নদীটা পার হওয়া যায়।

মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশে পলক বলেন, টেলিকম সেবা যেন বিশ্বের অন্যতম একটা ভালো বেঞ্চমার্কে পৌঁছাতে পারে, সেটা আমাদের মূল লক্ষ্য। কলড্রপে সময় নষ্ট হয় ও গ্রাহক বিরক্ত হয়। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদেরও টেকনিক্যাল এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। এসব বিষয় খেয়াল করে সমাধানে যেতে হবে। সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন, সমাধান করতে হবে।

মোবাইল গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর, তাই এ সেবাকে আন্তর্জাতিক মানে পরিণত করতে যথাযথ পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। মোবাইল অপারেটরগুলো গ্রাহকদের প্রতিশ্রুত সেবা দেওয়া, গ্রাহক পর্যায়ে সুলভ মূল‌্যে ইন্টারনেট সেবা এবং অপারেটরদের দেওয়া সুবিধাগুলোর যেন যথাযথ ব‌্যবহার নিশ্চিত হয়, সে ব্যাপারেও তিনি নির্দেশনা দেন।

পাশাপাশি গুলশান-বনানীসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি সেবা চালু করতে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ২০২২-এর মার্চে গ্রাহকদের ফাইভ-জি সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ১২৩ কোটি মার্কিন ডলারে ১৯০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কিনেছে দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সভাপতি ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমানসহ মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –