• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে আধুনিকায়ন

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

ইভিএমকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে ইভিএমকে আপত্তি জানিয়ে বাতিলের দাবিও করেছেন। খুলনা-২ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন ভোটার ও রাজনৈতিক নেতারা।

বিরোধীরা বলছেন, ইভিএমে যেভাবে ভোট গণনা করে এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার না, যার কারণে ইভিএমের পক্ষে নই। ইভিএমের ব্যবহার যদি না বুঝি তাহলে আমরা কিভাবে ভোট দেবো?

নতুন ভোটার কলেজ শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, সব কিছুতেই প্রথমে সমস্যা থাকে পরে ঠিক হয়ে যায়। ইভিএম অনেকে মেনে নিতে পারছেন না। বুজতে পারছেন না কিভাবে এটার ব্যবহার করতে হবে। শিখিয়ে দিলে তারা বুঝবে এটা কঠিন কিছুই না।

তিনি জানান, ব্যালট বই ছিনতাই হয়, জোর করে ব্যালটে সিল মারা হয়। ভোট গণনার আগে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়। ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বইয়ে সিল দেয়া হয়। ইভিএমে ভোট হলে এগুলো হবে না।

রিমন নামের এক ভোটার বলেন, দিন যত যাবে যন্ত্র বা প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়বে। এটাকে অবশ্যই স্বাগত জানাতে হবে। তবেই না নিজেদের আধুনিক দাবি করতে পারবো।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, আগে ভোট দিতাম সিল মেরে। এখন মেশিনে দিতে হবে। আমি তো লেখা পড়া জানি না কোথায় টিপ দিতে কোথায় দিয়ে ফেলবো। ভোটটা নষ্ট হয়ে যাবে।

শিপন নামের আরেক ভোটার বলেন, ইভিএমের মূল ভোটিং প্রোগ্রাম পরিবর্তন করা যায় এবং এর মাধ্যমে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করা যায়। এমনটি করা হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন হলে ভোট দেয়া না দেয়া সমান হবে।

খুলনা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ইভিএম সম্পর্কে মানুষের তেমন কোনো জ্ঞান নেই। ইভিএমের ব্যবহার জনগণের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

সদর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা এটিএম শামীম মাহমুদ জানান, এ আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯ জন। আসনটিতে ১৫৭টি কেন্দ্রের ৬৫৩টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য পাঁচটি করে ইভিএম মেশিন রয়েছে।

খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ইভিএম বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেয়ার জন্য খুব শিগগিরই ১৫৭ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৫৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৩০৬ জন পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –