• বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৮ ১৪৩১

  • || ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইউপি ভূমি অফিস যেন রমরমা ঘুষের হাট

লালমনিরহাট বার্তা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৮  

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউপি ভূমি অফিস যেন রমরমা ঘুষের হাট। ঘুষ ছাড়া এ অফিসে ফাইল নড়ে না। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ইউপি ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা, বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন তারা। আর এ থেকে মুক্তি পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের হস্তক্ষেপ কামনা করে একাধিক আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

মো. ইয়াকুব হোসেন খাজনা খারিজের নামে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন উল্লেখ করে ভুক্তভোগীরা বলেন, জমির মালিকরা খাজনা দিতে আসলে তিনি খারিজ প্রস্তাবনা, খ তফসিলের জমির সরকারি ডি সি আর/ খাজনা পরিশোধ, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নামে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষের নামে খরচ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

বড়টিয়া ৬ নং ইউপি সদস্য মো. আব্দুল বাতেন বলেন, আমার কিছু নামজারির জন্য অফিসে গেলে মোটা অংকের টাকা চায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। আমি জনপ্রতিনিধি হয়েও পরে বাধ্য হয়ে কয়েক মাস ঘোরাঘুরির পর ২৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে একটি জমির ডি সি আর কাটতে দেয়া হয়েছে।

বড়টিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হোসেন বাবর বলেন, আমার ইউপির লোকদের কাছ থেকে খারিজ প্রস্তাবনা, খ তফসিলের জমির সরকারি ডি সি আর/খাজনা পরিশোধ, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বড়টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলম বলেন, বড়টিয়ার ইউপির সরকারি লিজ জায়গা ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে খারিজ করে দিয়ে জাল দলিল করে দিয়েছে। এছাড়া বড়টিয়ার ঈমান আলীর নামে সরকারি খাল ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে মালিকানা করে দিয়ে তা মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে।

মো. ইয়াকুব হোসেন বলেন, জনগণকে নাজেহাল করে এভাবে অনৈতিক টাকা পয়সা নেয়ার বিষয়টি মিথ্যে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা সামিরা বলেন, কোনো অনিয়মকে ছাড় দেয়া হবে না। অনিয়মকারী ও দুর্নীতিবাজদের ব্যবস্থা নিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি। অভিযোগ যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

– লালমনিরহাট বার্তা নিউজ ডেস্ক –